আনোয়ার হোসেন :
শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া নয়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১নং আমানউল্যাপুর ইউনিয়নে রয়েছে নানান সমস্যা। ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের জোয়ার রাজধানীর ন্যায় পৌঁছায়নি এ অঞ্চলে।

গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে পারেনি ১নং আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ৷ একই সাথে একনজরে ইউনিয়ন পরিষদ-এর নেই সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য। অন্যদিকে জনসাধারনের নানান অভিযোগ রয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ থেকে তার নির্বাচনী এলাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রদীপ্ত’কে জানান, ‘১নং আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারের বিভিন্ন সহযোগিতা এ অঞ্চলের জনসাধারণ পেয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য নতুন রাস্তা, গাইড ওয়াল, কাঁচা রাস্তা পাকা এবং আরসিসি ঢালাই করা হয়েছে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’ যদিও এসব উন্নয়ন, সুযোগ–সুবিধার বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
এলাকাবাসী জানান, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসের জনপদ এখন শান্ত রয়েছে, যা আরিফুর রহমান মাহমুদের একটি বিশেষ কর্মদক্ষতার ফলাফল। আগামী নির্বাচনে পুনরায় জনগনের ভোটে আরিফুর রহমানের বিজয় হবে বলে এলাকাবাসীর সিংহ ভাগ মনে করছেন।
সরেজমিন ঘুরে ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বললে ইউপি সদস্য শামুল আলম হেলাল জানান, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক সংস্কার, ৩শ ফুট গাইড ওয়াল নির্মান করা হয়েছে, ৪৪ মিটার আরসিসি ঢালাই করাসহ নানান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করা হয় ০৭নং ওয়ার্ড-এ। এ ছাড়া বর্তমানে ৩ কি.মি. কাঁচা সড়ক পাকায় উন্নতিকরন প্রয়োজন।
ইউপি সদস্য মো. আবদুল মতিন (০৪নং ওয়ার্ড) জানান, উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকায় উন্নতিকরন করা হয়। বর্তমানে এলাকাবাসীর যোগাযোগ সুবিধার প্রয়োজনে আইয়ুবপুর কাজী বাড়ির মসজিদের সামনে থেকে মরণী পুকুর পাড় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকায় উন্নতিকরন এলাকাবাসীর দাবি।