More

    নোয়াখালীতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু শয্যায় যুবলীগ নেতা

    প্রকাশ:

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুকুর নিয়ে বিরোধে জের ধরে রেজাউল হক পলাশ নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তার মাথা-ঘাড়-বুক-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের প্রায় ২১টি জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে যুবলীগ নেতা পলাশ।

    এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুসহ অভিযুক্তদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে গতকাল শনিবার (১৫ মে) বিকেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেছে। উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের পশ্চিম খালিশপুর গ্রামে মানববন্ধন করা হয়। পরে একটি বিক্ষাভ মিছিল ছয়ানি বাজার গিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধরা। আহত পলাশ ছয়ানি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নাদেরের জামান, হেদায়েত উল্যা, আবদুর রব, শেখ ফরিদ, ফিরোজ আলম,শাহাদাত হোসেন ও মো. কাদেরসহ শতাধিক এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে পলাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় তার বাবা জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে ১৪ মে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামিরা হলেন বাবু, মো. ফিরোজ, ইকবাল হোসেন, মো. বাঁধন, মো. রাজু, মো. লোকমান, জাবেদ হোসেন ও মো. সেলিম।

    এজাহার সূত্র জানায়, দক্ষিণ খালিশপুর গ্রামে একটি পুকুর নিয়ে জয়নাল ও বাবুদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি বাবু ও তাদের বাড়ির লোকজন ওই পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করার চেষ্টা করে। এনিয়ে বাধা দিলে বাবু ও তার বাড়ির লোকজন জয়নালদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার মীমাংসার জন্য পুলিশের পরামর্শে স্থানীয় গণ্যমান্যরা ১৮ মে বৈঠক ডাকেন। কিন্তু ১২ মে রাতে বাবুসহ অভিযুক্তরা একা পেয়ে জয়নালের ছেলে যুবলীগ নেতা পলাশের ওপর হামলা করে।

    এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পলাশের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় পলাশকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তাধীন চলছে বলে জানায় থানা পুলিশ।