More

    মানবেতর জীবনযাপন করছে আ’লীগের পাগলা মালেক

    প্রকাশ:

    আনোয়ার হোসেন:

    ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করার স্বপ্নে নয়, শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে সেই সময়ে মিছিল-মিটিংয়ের প্রথম সারির কর্মী ছিল শ্রমিক আবদুল মালেক৷ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগের প্রতি তার এমন ভালোবাসা দেখে সেই সময় তাকে পাগলা মালেক নামেও ডাকা হতো; এখনো এই নামে সবাই তাকে চিনেন৷

    মানবেতর জীবনযাপন করছে আ’লীগের পাগলা মালেক
    আবদুল মালেক | ছবি: আনোয়ার হোসেন

    নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বাদী করে আবদুল মালেক বলেন, ‘যুদ্ধের সময় তিনি গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধা ছিলেন৷ একদিন আমিন বাজার থেকে পূর্ব রাজাপুর পণ্ডিত বাড়িতে মায়ের সাথে দেখা করতে আসেন৷ তখন রাজাকারদের হাতে আটক হন এবং তার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল কেটে দেওয়া হয়৷ তার সাথে যুদ্ধের মাঠে শাহ আলম, নূর আলম, ছিদ্দিক, আবুল কালাম, মনু মাঝিসহ আরও অনেকে ছিলেন৷’

    বর্তমান আবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ত্রী-সন্তান নেই থাকার মতো কোন ঘরও নেই তাই কফিল উদ্দিন কলেজের পশ্চিম পার্শ্বে রূহুল আমিনের ডুলি দোকানে গত একবছরের বেশি সময় থেকে রাতে থাকেন৷ এর আগে তিনি নাটোরে বোনের বাসায় ছিলেন, বোন মারা যাওয়ার পরে ফিরে আসেন চন্দ্রগঞ্জে৷

    মানবেতর জীবনযাপন করছে আ’লীগের পাগলা মালেক
    রূহুল আমিনের ডুলি দোকান | ছবি : আনোয়ার হোসেন

    ৭৪ বছরের আবদুল মালেক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পূর্ব রাজাপুর গ্রামের পণ্ডিত বাড়ির মরহুম আফজাল মিয়ার পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান৷

    আওয়ামীলীগের পাগলা এই কর্মী অভিযোগ করে বলেন, জেলা ও থানার এমন কোন নেতা নেই যে, তিনি সহযোগিতা জন্য যাননি৷ কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি৷ এমনকি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় পর্যন্ত তার নাম দেওয়া হয়নি৷ চিকিৎসার অভাবে একটি চোখ অন্ধ হয়ে গেছে৷ জীবনের শেষ সময়ে বিনা চিকিৎসার মৃত্যুবরণ করতে হবে; বলেই কেঁদে দেন তিনি৷

    স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় একটা সময় রিক্সা চালিয়ে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা হতো এখন তো তাও পারছেনা৷ কেউ দিলে খেতে পারে, না হয় না-খেয়ে দিন পার করতে হয়৷ সরকার ভিবিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে অসহায়দের; আবদুল মালেকও পাওয়ার যোগ্য৷

    ১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সাথে আবদুল মালেকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা জানিনা৷ তবে সে আমার পাশের বাড়ির হিসেবে ভিবিন্ন সময় সাহায্য-সহোযোগীতা করার চেষ্টা করি৷’