More

    লক্ষ্মীপুরে টিকা পেতে খুদে বার্তার অপেক্ষায় প্রায় তিন লাখ মানুষ

    প্রকাশ:

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য মানুষের মধ্যে টিকার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকার সরবরাহ খুবই কম। টিকার জন্য অনেক মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করে স্বাভাবিকভাবে টিকা নিতে পারছেন না। দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও এসএমএস পাচ্ছেন না৷ লক্ষ্মীপুরে দেড় মাসেও টিকা পেতে খুদে বার্তার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় তিন লাখ নিবন্ধনকারী।

    তবে সিভিল সার্জন বলছেন, ইতিমধ্যে আড়াই লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা আসলে পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে। পছন্দসই কেন্দ্রে নিবন্ধন করে কেউ টিকা গ্রহণের জন্য ক্ষুদে বার্তা পাচ্ছেন খুবই কম সময়ে আবার কেউ পাচ্ছেন মাস পেরিয়ে। এরপর ক্ষুদে বার্তা পেলেও আবার টিকা গ্রহণের তারিখ পাচ্ছেন দুই সপ্তাহের ব্যবধানে।

    লক্ষ্মীপুরে টিকা পেতে খুদে বার্তার অপেক্ষায় প্রায় তিন লাখ মানুষলক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা ফেরদৌস ইসলাম। বেসরকারী একটি কোম্পানীতে কর্মরর্ত রয়েছেন। ১ লা জুলাই তার স্ত্রীসহ করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করেন। আর নিবন্ধনের সময় টিকা কেন্দ্র নির্ধারন করেন জেলা সদর হাসপাতাল। মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কবে টিকা পাবেন,সে খুদে বার্তা (এসএমএস) এখনো পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফেরদৌস ইসলামের মতো জেলার ৫টি উপজেলায় ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন প্রায় সাড়ে ৫ লাখের মতো মানুষ। কিন্তু ওইদিন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২লাখ ৫০হাজার মানুষ।
    আর নিবন্ধন করে টিকার নিতে অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ৩ লাখের বেশি মানুষ। তাদের অনেকে এক থেকে দেড় মাস আগে নিবন্ধন করেও এখনো কোন বার্তা পাননি বলে অভিযোগ করেন নিবন্ধনকারীরা। টিকা নিতে নিবন্ধনকারী হুমায়ুন কবির, মো. আবু তাহের, নাজমা বেগমসহ অনেকেই জানান, টিকা নিতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধন করা হয়। এখন পর্যন্ত কোন বার্তা পাননি। টিকা কবে পাব বুজতে পারছিনা। কেন্দ্র থেকে জানিয়েছে টিকার নিবন্ধন অনেক বেশি। টিকা নিয়ে অফিস করতে বলা হলেও টিকা না নেয়ায় বিড়াম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
    এদিকে প্রবাসীরাও ঠিকমত টিকা নিবন্ধন করে টিকা পাওয়ায় বিদেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত নিবন্ধনকারী টিকা নিশ্চিতের দাবী স্থানীয়দের। হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, সক্ষমতার চেয়ে জেলায় অনেক বেশি নিবন্ধন হয়েছে। সদর হাসপাতালে ছয়টি বুথে প্রতিদিন টিকা দেয়া হয় গড়ে এক হাজার। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারটি বুথে গড়ে টিকা পান ৬/৭ শ মানুষ। এর মধ্যে অর্ধেক পাচ্ছেন প্রথম ডোজের টিকা। অন্যরা পাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ। এ হারে নিবন্ধিত সবাইকে টিকা নিতে হলে সময় লাগবে আট থেকে নয় মাস।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবদুল গফ্ফার জানান, ইতিমধ্যে আড়াই লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধন করেন। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহের কোন কমতি নেই। সবাই টিকা নিতে নিবন্ধন করছেন ও কেন্দ্রেগুলোতে ভিড় করচেন।  টিকা আসলে পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে। খুব কম সময়ের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে বলে আশা করেন তিনি।