More

    হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো

    প্রকাশ:

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    লক্ষ্মীপুরে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান নিশানকে গ্রেপ্তার করা আজও সম্ভব হয়নি। ২৪ জুলাই তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ১৬ দিন ধরে তিনি অধরা। নিশান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে দত্তপাড়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীম হত্যাসহ অন্তত ৫ টি মামলা রয়েছে।

    হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো
    যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান নিশান

    আজ সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামি নিশানকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলছে। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্যমতে, হত্যাচেষ্টা মামলা তুলে নিতে আসামিরা ৪ আগস্ট রাতে বাদী আবুল বাশারের ছোট ভাই সাগর মিয়ার সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় সাগরকে না পেয়ে বাড়িতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কে দিনযাপন করছেন।

    বাদী ও পুলিশ জানায়, হত্যাচেষ্টা মামলার প্রেক্ষিতে শেরপুর গ্রাম থেকে ২৪ জুলাই নিশানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরপরই নিশানের লোকজন দ্রুত জড়ো হয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযোন চালিয়েও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিশান বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী আবুল কাশেম জেহাদীর অনুসারী হিসেবে পরিচিতি।

    তবে আবুল কাশেম জেহাদী বলেন, নিশান যুবলীগ নেতা, রাজনৈতিক কারণেই আমার সঙ্গে তার সর্ম্পক রয়েছে। তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে- এটার সঙ্গে আমি জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে শামীম হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, শেরপুর কাজি বাড়িতে সাগরের বাসার পাশে পুকুর থেকে আসামি নিশান ড্রেজার মেশিনের বালু উত্তোলন করে। এতে সাগরের বাসার ভবনের দক্ষিণ পাশে ফাটল ধরে। নিশানকে ডেকে সাগর বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরজের ধরেই ৩১ মে রাতে মামলার বাদী আবুল বাশার ও তার খালাতো ভাই সাগর বশিকপুরের পোদ্দারবাজার থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় উত্তর শেরপুর গ্রামে পৌঁছলে নিশানসহ আসামিরা তাদের সিএনজি গতিরোধ করে। এ সময় তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় ২ জুন বাশার বাদী হয়ে নিশানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন সজীব হোসেন, রুবেল হোসেন, হুমায়ুন কবির, ফরিদ উদ্দিন, রিয়াদ হোসেন ও অচেনা ১০ জন।

    মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, সন্ত্রাসী নিশানকে গ্রেপ্তারের পর সহযোগীরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তাকে ১৬ দিনেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলা প্রত্যাহার করতে আমাদের বাড়িতে গিয়ে ফাঁকা গুলি করেছে। আমরা এখন চরম আতংকের মধ্যে আছি।

    এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজুলল হক বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অপরাধীরা ছাড় পাবে না।