আনোয়ার হোসেন :
অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যে লেলিন, তাকে ধরার ক্ষমতা নেই প্রশাসন বা অডিট কমিটির। বরং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান, সচিব ও সদস্যগণ সবাই তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ০২নং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম নুহ-উল-আলম (লেলিন) ছাড়া করা সম্ভব নয়।

দুর্নীতির পদে বসে প্রায় চার বছর ০২নং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করে যাচ্ছেন তিনি। তার রাজত্ব এতটাই বিস্তৃত যে চেয়ারম্যান পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা। কিন্তু কে এই লেলিন-এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইলে তিনি নিজেই উত্তর দিতে পারেননি। নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে সাংবাদিক, সচিব, বেগমগঞ্জ নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চাউল বিতরণ কমিটির প্রধান ইত্যাদি।
বুধবার সকালে (০৮ সেপ্টেম্বর) গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বর্তমান সচিব মাছুম বিল্লাহ্’র বাম পাশে বসে অফিস করছেন। তিনি কে এমন প্রশ্নে সচিব (মাছুম বিল্লাহ্) কোন উত্তর দেয়নি। পুনরায় যখন জানতে চাই আপনার পাশে যিনি বসে আছেন, তিনি কি সচিব? উত্তরে মাছুম বিল্লাহ্ ইশারা করে সহমত পোষন করেন। ইউপি সচিব মাছুম বিল্লাহ্ কেন এমনটি করলেন পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে (০৯ সেপ্টেম্বর) আবারও জানতে চাইলে নিজেকে নবীন ও লেলিন সাহেবকে অভিজ্ঞ বলে অবহিত করেন তিনি।

ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান (খলিল) ও প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে যে সচিব ছিল, সে এই অনিয়মের জন্মদিয়ে যায়, চেয়ারম্যানের হাতে-হাত রেখে। এরপর তাকে বিদায় করার পরে আর সচিব পায়নি ০২নং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এরপর খন্ডকালীন দায়িত্ব পালন করেন ১৩নং রসুলপুর ইউপি সচিব মাঈন উদ্দিন। মাঈন উদ্দিনের হাত ধরেই নুহ-উল-আলম (লেলিন)-এর আবির্ভাব হয় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে। তারপর থেকে একক রাজত্ব কায়েম করে চলেছে লেলিন। লাখ-লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় সে। তার অদৃশ্য শক্তিতে সে আজও এই অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে দাম্ভিকতার সাথে। লেলিনের কালো হাত থেকে রক্ষা পেতে চায় গোপালপুর ইউনিয়নবাসী।
০২নং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল হুদার নিকট বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নুহ-উল-আলম (লেলিন) এখানে কেন আছে সেই প্রশ্ন আমাকে করছেন। সে এখানে থাকবে না সমস্যা নেই ‘এই যে আরিফরে চিনেননি, আংগো এমপি (নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরন) সাবের হালা, নাম হুইনছেননি কোন দিন; গাঁজার সম্রাট, বাবার সম্রাট, তাদেরকে প্রশাসন ও আপনাদের মত আরও ১৪শ সাংবাদিক কিছুই করতে পারবেনা।’ আপনাদের (গণমাধ্যমের) কাছে আমার কোন জবাদিহিতা নেই।