আনোয়ার হোসেন:
একক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করছে৷ এতে করে জনমনে ভয়ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে৷ আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এই কোন্দলের অবসান না হলে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতারা৷

লক্ষ্মীপুর সদর থানা পূর্ব যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মোরশেদ আলম বলেন, ‘এলজিএসপি-৩’র সরকারি প্রকল্পের যেসব কাজ আসে তা বাস্তবায়ন করার পূর্বে চেয়ারম্যান বিভিন্ন খরচের নামে জনগণের নিকট হতে ৪০ থেকে ১ লক্ষ টাকা তুলে এলজিএসপি-৩’র সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে৷ এই টাকা যাদের দিয়ে তোলা হয় তাদের জনপ্রতি ২ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়৷ প্রতিটি গভীর নলকূপের জন্য ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়া এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্যসহ কামাল মেম্বারকে দিয়ে শালিস বানিজ্য করার অভিযোগ করেন’ সদর থানা পূর্ব যুবলীগরে সাবেক এ নেতা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ‘মানুষ ভুলের উর্ধে নয়, তাই গোলজার মোহাম্মদও ভুল করতে পারে। তাঁর জানা অজানা নানান অনিয়ম পরিষদে হতে পারে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। যেহেতু তিনি ক্ষমতায় আছে তাই ভালো কাজের সুনামের সাথে ব্যর্থতার দুর্নাম’র দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় কোন প্রকার অশান্তি আমরা প্রত্যাশা করি না। চরশাহী ইউনিয়ন অতীতে সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। বর্তমানে সেই পরিবেশ কিছুটা নরমাল থাকলেও সন্ত্রাসীরা এখনো সেই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। তাই প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার জনগণের রয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠা করা প্রার্থীদের দায়িত্ব। যে তা পারবে না সে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এ জনপদে অশান্তি সৃষ্টি করার কোন অধিকার নেই।’
১২নং চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিংকু ও সভাপতি মোশারেফ হোসেন জানান, ‘গত নির্বাচনে হাতে হাত রেখে নিরলস কাজ করে গোলজার মোহাম্মদকে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী করি। কিন্তু তিনি বিজয়ী হওয়ার পর থেকে দল ও দলের নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন না করায় দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ করা হয় না তাঁকে। এতে করে ইউনিয়ন আ.লীগের সাথে তাঁর দূরত্বের সৃষ্টি হয়।’
১২নং চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ জানান, ‘যারা আমার খুব কাছে ছিল বছরের পর বছর আজ তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি তাদের বলব, স্বাক্ষী-প্রমাণ নিয়ে আমার সামনে আসতে। যদি তা ব্যাখ্যা করতে না পারি তবে আমার বিচার জনগণ করবে। ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক যত কাজ হয়, সব কাজই জনগণকে সাথে নিয়ে তাঁদের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করা হয়। একটি মহল নিজেদের স্বার্থ সফল করতে না পেরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। ইনশাআল্লাহ জনগণ এই অপশক্তিদের জবাব সময় মতো দিবে।